× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Eid ul Fitr prayers at the National Eidgah 
google_news print-icon

জাতীয় ঈদগাহে প্রধান উপদেষ্টার ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় 

জাতীয়-ঈদগাহে-প্রধান-উপদেষ্টার-ঈদুল-ফিতরের-নামাজ-আদায় 
সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান উপদেষ্টা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ হাজারো মুসল্লি।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে আদায় করেছেন।

সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান উপদেষ্টা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ হাজারো মুসল্লি।


এদিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে দুই ঘণ্টা আগে থেকেই মুসল্লিরা রাজধানীর হাইকোর্টসংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশ করেন।


বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক ইমাম হিসেবে এ জামাতে দায়িত্ব পালন করেন, এবং ক্বারী হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররমের মুয়াজ্জিন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The Chief Advisor Press Wing Done the New York Times article information

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের নিবন্ধটির তথ্য খণ্ডন করেছে

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের নিবন্ধটির তথ্য খণ্ডন করেছে

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আজ বলেছে, নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ নিজেকে পুনরুজ্জীবিত করছে, ইসলামী কট্টরপন্থীরা একটি উন্মোচন দেখছে’ শীর্ষক নিবন্ধটি বিভ্রান্তিকর।

প্রেস উইং তার যাচাইকৃত ফেসবুক পেজ-সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস-এ পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘নিউ ইয়র্ক টাইমসের নিবন্ধটি বাংলাদেশের একটি বিভ্রান্তিকর ও একপেশে দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে দেশটি ধর্মীয় চরমপন্থীদের নিয়ন্ত্রণের দ্বারপ্রান্তে’।

এই বয়ান কেবল দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক গতিশীলতাকে অতিরঞ্জিত করে না বরং ১৮ কোটি মানুষের একটি সমগ্র জাতিকে অন্যায়ভাবে কলঙ্কিত করার ঝুঁকির মুখেও ফেলে দেয়।

বিবৃতি বলা হয়, একটি বিভ্রান্তিকর চিত্র তুলে ধরার মতো বেছে বেছে উস্কানিমূলক উদাহরণের উপর নির্ভর করার পরিবর্তে বিগত বছরে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও পরিস্থিতির জটিলতা স্বীকার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিবৃতিটি নিম্নরূপ :

১. বাংলাদেশের অগ্রগতি এবং চ্যালেঞ্জগুলো স্বীকার করা :

নিবন্ধটিতে ধর্মীয় উত্তেজনা ও রক্ষণশীল আন্দোলনের কিছু ঘটনা তুলে ধরা হলেও অগ্রগতির বৃহত্তর প্রেক্ষাপটকে উপেক্ষা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ নারীদের অবস্থার উন্নতিতে উলে¬খযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার তাদের সুরক্ষা ও কল্যাণের জন্য বিশেষভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এটি এমন একটি সরকার যা নারীর অধিকার ও সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, যা নিবন্ধে তুলে ধরা আবছা চিত্রের সম্পূর্ণ বিপরীত।

এর একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হল ‘যুব উৎসব ২০২৫’, যেখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ২৭ লক্ষ মেয়ে ৩,০০০ খেলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছিল।

বিভিন্ন অঞ্চল, প্রান্তিক সম্প্রদায় এবং আদিবাসী যুবসমাজের ব্যাপক অংশগ্রহণ বাংলাদেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনে নারী ও মেয়েদের স্বতঃস্ফূর্ত ও গতিশীল সম্পৃক্ততার প্রতিফলন।

একটি ফুটবল খেলা বিরোধিতার মুখোমুখি হওয়ার বিষয়টি অন্যান্য ২,৯৯৯টি ইভেন্টের সাফল্যকে মুছে ফেলে না, যা অসংখ্য অংশগ্রহণকারী ও সম্প্রদায় উদযাপন করেছিল।

একটি অনুষ্ঠানে একটি মাত্র বাধার বিষয়ে আলোকপাত করার মাধ্যমে দেশের যুবসমাজের, বিশেষ করে নারীদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহন ও দৃঢ় অঙ্গীকারের বিষয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ‘চরমপন্থী শক্তির বিরুদ্ধে যথেষ্ট কঠোরভাবে প্রতিরোধ করেননি’ এই দাবি কেবল মিথ্যাই নয়, বরং এটি নারীর ক্ষমতায়নের প্রতি তার আজীবন প্রতিশ্রুতিকেও উপেক্ষা করে।

প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে অধ্যাপক ইউনূস নারীর অধিকারের পক্ষে তার অবস্থানে অটল রয়েছেন। দুই কন্যার পিতা, ইউনূস তার সমগ্র কর্মজীবন এবং গ্রামীণ ব্যাংককে নারীর শক্তিতে তার গভীর বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে গড়ে তুলেছেন, যা শেষ পর্যন্ত তাকে নোবেল পুরষ্কার এনে দিয়েছে।

নারীর অধিকার এগিয়ে নেওয়া এবং তাদের স্বাধীনতা রক্ষায় তার নিষ্ঠা ও কাজ তার খ্যাতির ভিত্তি।

২. ধর্মীয় সহিংসতা সম্পর্কে ভুল ধারণা সংশোধন :

বাংলাদেশের মতো দেশে, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ধর্মীয় সহিংসতার মধ্যে পার্থক্য করা গুরুত্বপূর্ণ। শেখ হাসিনা চলে যাওয়ার পর থেকে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘটিত অনেক সংঘর্ষকে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা হিসেবে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যদিও বাস্তবে, সেগুলো মূলত রাজনৈতিক প্রকৃতির ছিল।

রাজনৈতিক বিভিন্ন দল অনেক সময় সমর্থন লাভের জন্য ধর্মকে ব্যবহার করে, যা বিষয়টিকে জটিল করে তোলে এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার সাথে ধর্মীয় নিপীড়নের মিশ্রণের ঝুঁকি তৈরি করে। পুরো পরিস্থিতিকে একটি সাম্প্রদায়িক সংঘাত হিসাবে উপস্থাপন করা বিভ্রান্তিকর, কারণ এটি প্রকৃত রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক কারণগুলোকে উপেক্ষা করে।

অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার সকল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে রক্ষা করার জন্য তার প্রতিশ্রুতি সুস্পষ্ট করেছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চলমান কাজ এবং সন্ত্রাসবাদ দমন প্রচেষ্টা এই প্রতিশ্রুতিকে আরও জোরদার করে।

সামাজিক সংস্কার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে চরমপন্থা মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টা ভুল তথ্য ছড়ানোর মাধ্যমে ম্লান হওয়া উচিত নয়।

৩. বৈশ্বিক মঞ্চে বাংলাদেশের ভূমিকা :

বাংলাদেশ নীরবে এশিয়ার অর্থনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে একটিতে রূপান্তরিত হচ্ছে, একটি প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় যা বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রচুর সুযোগের প্রতিশ্রুতি দেয়।

সকল প্রতিকূলতার মধ্যেও, বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল হয়েছে যা উল্লেখযোগ্য স্থিতিস্থাপকতার প্রতিফলন।

গত সাত মাসে, রপ্তানি প্রায় ১২% বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতার পরেও ব্যাংকিং খাত গতিশীল রয়েছে এবং স্থানীয় মুদ্রার বিনিময় হার মার্কিন ডলারের বিপরীতে প্রায় ১২৩ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে।

সামনের দিকে তাকালে, বাংলাদেশ ২০২৬ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের নবম বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে পরিণত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

৮৪ বছর বয়সী মুহাম্মদ ইউনূস গত আট মাস ধরে যেসব অবিশ্বাস্য কাজ সম্পন্ন করেছেন তার স্বীকৃতি কোথায়? বাংলাদেশের জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য তিনি সারা বিশ্বজুড়ে সফর করে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন।

গত সপ্তাহে চীন সফরের সময় চীন সরকার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশকে ২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ, বিনিয়োগ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

ঢাকা আগামী সপ্তাহে, বিনিয়োগকারীদের সম্মেলন আয়োজন করবে, যেখানে ৫০টি দেশের ২,৩০০ জনেরও বেশি অংশগ্রহণকারী অংশগ্রহণ করবেন, যার মধ্যে মেটা, উবার ও স্যামসাংয়ের মতো বৈশ্বিক কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তারাও থাকবেন।

বিশ্ব ক্রমবর্ধমানভাবে বাংলাদেশকে একটি উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে। এটি হচ্ছে আশা, শক্তি ও অভূতপূর্ব সুযোগের গল্প - যা সম্মান ও যথাযথ বিবেচনার দাবি রাখে।

৪. অতি সরলীকরণ এড়িয়ে চলা এবং একটি জাতিকে অপবাদ দেয়া :

নিউ ইয়র্ক টাইমসের নিবন্ধে কয়েকটি ঘটনার উলে¬খ রয়েছে, যেমন একজন মহিলার উপর নির্যাতনকারী একজন ব্যক্তিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে, যা একটি দেশের চরমপন্থায় পতিত হওয়ার চিত্র তুলে ধরে।

এটি কেবল বিভ্রান্তিকরই নয় বরং ক্ষতিকারক। ১৮ কোটি জনসংখ্যার একটি দেশে, কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা দ্বারা সমগ্র দেশকে সংজ্ঞায়িত করা অযৌক্তিক।

বাংলাদেশ একটি বৈচিত্র্যময় ও গতিশীল সমাজ যেখানে সহনশীলতা, সংস্কৃতি এবং প্রগতিশীল চিন্তাভাবনার সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে।

ধর্মীয় উগ্রবাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ একা নয়; এটি একটি বিশ্বব্যাপী সমস্যা যা অনেক দেশ বিভিন্ন রূপে মোকাবেলা করে।

তবে, আইন প্রয়োগ, সামাজিক সংস্কার ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করার জন্য ক্রমাগত কাজ করে আসছে।

মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান বা অন্য যে কোনও সম্প্রদায়ের বৈচিত্র্যময় জনসংখ্যাকে রক্ষা করার জন্য বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বিভিন্ন সমাবেশে ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘৃণা ছড়ানোর জন্য সবসময়ই কট্টরপন্থীরা সক্রিয় থাকলেও তাদের ক্ষোভে ঘৃতাহুতি না দেয়া আমাদের দায়িত্ব।

এছাড়া, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের ফলে চরমপন্থার উত্থান অনিবার্য এমন চিন্তা অত্যন্ত পূর্বধারণাপ্রসূত।

দেশের গণতান্ত্রিক চেতনা ও প্রাণবন্ত নাগরিক সমাজ এমন শক্তিশালী যা চরমপন্থী মতাদর্শের উত্থানকে প্রতিহত করে চলেছে।

চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও, বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী গতিধারা কেবল চরমপন্থীদের কর্মকাণ্ড দ্বারা নির্ধারিত হবে না।

বাংলাদেশের জনগণ, বিশেষ করে এর যুবসমাজ ও মহিলারা একটি ন্যায়সঙ্গত, গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজের জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

পরিশেষে, বাংলাদেশের সহনশীলতার ইতিহাস, গণতন্ত্রের প্রতি তার অঙ্গীকার এবং নারীর ক্ষমতায়নের উপর তার মনোযোগ এই সত্যের প্রমাণ যে, দেশটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও এগিয়ে যাবে।

কয়েকটি নেতিবাচক উদাহরণের উপর মনোযোগ দেওয়ার পরিবর্তে, আমাদের আজকের বাংলাদেশকে সংজ্ঞায়িত করে এমন অগ্রগতি, সহনশীলতা ও দৃঢ় অঙ্গীকারের ব্যাপকতর চিত্রটির স্বীকৃতি দেওয়া উচিত।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
During the interim government those involved in the disappearance will be subjected to trial Information Advisor

অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে : তথ্য উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে : তথ্য উপদেষ্টা

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো: মাহফুজ আলম বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা গুম-খুন করে তার বাবা-মায়ের হত্যার প্রতিশোধ নিয়েছেন। ২০১৩ ও ২০১৪ সালে মানুষ যখন ভোটাধিকারের জন্য লড়াই করছিলেন, তখনই সবচেয়ে বেশি গুম করা হয়েছিল। যার মূল উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংস করা।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার তেজগাঁওয়ে মানবাধিকার সংগঠন মায়ের ডাক-এর উদ্যোগে গুমের শিকার মানুষের স্বজনদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় তথ্য উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

তথ্য উপদেষ্টা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আওয়ামী লীগকে এদেশে আর রাজনৈতিকভাবে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগকে সুযোগ দিলেই আবার দেশে গুম-খুনের পরিমাণ বেড়ে যাবে। তাদের এই সুযোগ দেওয়া হবে না। শেখ হাসিনা মানুষের সব মানবাধিকার কেড়ে নিয়েছিলেন। এখনো ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন, যা খুবই দুঃখজনক। বর্তমান সরকার হারানো মানবাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে কাজ করছে।

মাহফুজ আলম বলেন, সরকার ইতোমধ্যে গুম-সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন গঠন করেছে। এই কমিশনের প্রস্তাবনা অনুযায়ী গুমের সঙ্গে জড়িত অনেকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান।

বিগত সরকারের সমালোচনা করে উপদেষ্টা বলেন, যারা রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরোধিতা করেছেন, তাদের সন্ত্রাসী ও জঙ্গি ট্যাগ দিয়ে গুম করা হয়েছে এবং তাদের স্বজনদের আতঙ্কগ্রস্ত করা হয়েছে। গুমের কাজে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকেও ব্যবহার করা হয়েছিল। মতবিনিময় সভায় গুমের শিকার পরিবারের সদস্যরা গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করেন এবং গুম হওয়া স্বজনদের সন্ধান চান।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Reform elections are not different things Mirza Fakhrul

সংস্কার-নির্বাচন আলাদা জিনিস না: মির্জা ফখরুল

সংস্কার-নির্বাচন আলাদা জিনিস না: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সংস্কার আর নির্বাচন আলাদা জিনিস না। সংস্কার সংস্কারের মত চলবে। নির্বাচন নির্বাচনের মতো চলবে। এছাড়া সংস্কার প্রস্তাব যথাযথভাবে পর্যালোচনা করেই বিএনপি মতামত দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টার সদ্য সমাপ্ত চীনসফর প্রসঙ্গে মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে চীন এক তরফাভাবে একটা দলের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছে। তবে এখন তারা চিন্তাভাবনা পরিবর্তন করে সব দলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ছে। চীন বাংলাদেশে উৎপাদনে ও উন্নয়নে বিনিয়োগের জন্য যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সেটা দেশের জন্য আশাবাদের কথা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, যে বিষয়ে মতের ঐক্য হবে সেগুলো মেনেই নির্বাচন হবে। যারাই নির্বাচিত হবে সেই সংস্কার করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
পরে বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল ও ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। এসময় জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ জাফরুল্লাহ, যুবদলের সদস্য সচিব জাহিদ হাসান, ছাত্রদলের সভাপতি মোহাম্মদ কায়েসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The young man was injured in a stabbing with a bet

বাজি ফোটানো নিয়ে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন, আহত ৪

বাজি ফোটানো নিয়ে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন, আহত ৪
স্থানীয়রা জানান, রাতে বিরামপুর ব্রিজের ওপর আপন, রাশেদুল ও শামীম বাজি ফোটাচ্ছিল। এ সময় সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন অলিদ, পিয়াল, আরিফ ও মেহেদী। তারা দাবি করেন, বাজি তাদের গায়ে পড়েছে। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। এর মধ্যে অলিদসহ অন্যরা আপন, রাশেদুল ও শামীমকে মারপিট ও ছুরিকাঘাত করেন।

যশোরে ঈদের রাতে বাজি ফোটানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মারামারিতে অলিদ নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪ জন।
গতকাল সোমবার রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের বিরামপুরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত অলিদ (২০) যশোর সদর, উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের নওদা গ্রামের সেনা সদস্য হৃদয় হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, রাতে বিরামপুর ব্রিজের ওপর আপন, রাশেদুল ও শামীম বাজি ফোটাচ্ছিল। এ সময় সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন অলিদ, পিয়াল, আরিফ ও মেহেদী। তারা দাবি করেন, বাজি তাদের গায়ে পড়েছে। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। এর মধ্যে অলিদসহ অন্যরা আপন, রাশেদুল ও শামীমকে মারপিট ও ছুরিকাঘাত করেন।
খবর পেয়ে আপনের বাবা রিপন আলী সেখানে গেলে তাকেও ছুরি মেরে আহত করেন। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে অলিদ গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহত আপন, তার বাবা রিপন আলী, শামীম, অলিদ ও রাশেদুলকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার সময় মারা যান অলিদ। আহতদের মধ্যে রাশেদুলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। আর আপন, রিপন আলী ও শামীম যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত জানান, বাজি ফোটানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মারামারিতে একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছে। হত্যায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The rescue team with relief was sent to Myanmar in the second round

মিয়ানমারে দ্বিতীয় দফায় পাঠানো হলো ত্রাণসহ উদ্ধারকারী দল

মিয়ানমারে দ্বিতীয় দফায় পাঠানো হলো ত্রাণসহ উদ্ধারকারী দল
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে আজ (মঙ্গলবার) বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি ও বিমান বাহিনীর দুটিসহ মোট তিনটি পরিবহন বিমান উদ্ধার সরঞ্জামাদিসহ একটি উদ্ধারকারী দল, জরুরি ওষুধ সামগ্রীসহ একটি চিকিৎসক দল এবং ১৫ টন ত্রাণসামগ্রী নিয়ে মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোর উদ্দেশে যাত্রা করেছে।

মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় দ্বিতীয় দফায় জরুরি ওষুধ, চিকিৎসক দল, ত্রাণসামগ্রী ও উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে বাংলাদেশ।
আজ মঙ্গলবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে আজ (মঙ্গলবার) বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি ও বিমান বাহিনীর দুটিসহ মোট তিনটি পরিবহন বিমান উদ্ধার সরঞ্জামাদিসহ একটি উদ্ধারকারী দল, জরুরি ওষুধ সামগ্রীসহ একটি চিকিৎসক দল এবং ১৫ টন ত্রাণসামগ্রী নিয়ে মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোর উদ্দেশে যাত্রা করেছে।
৩৪ জন উদ্ধারকারী ও ২১ জন চিকিৎসাকর্মী মিলিয়ে মোট ৫৫ জনের একটি দল এই মিশনে অংশ নিয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। সেনাবাহিনীর কর্নেল মো. শামীম ইফতেখারের নেতৃত্বে মিয়ানমারের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার অভিযান ও জরুরি চিকিৎসাসেবা পরিচালনা করবে দলটি।
উদ্ধারকারীদের মধ্যে সেনাবাহিনীর ২১ জন, নৌবাহিনীর দুজন, বিমানবাহিনীর একজন ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১০ সদস্য রয়েছেন। চিকিৎসা সহায়তা দলে রয়েছেন সেনাবাহিনীর ১০ জন, নৌবাহিনীর একজন, বিমানবাহিনীর দুজন ও অসামরিক ৮ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্স।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দ্বিতীয় দফায় পাঠানো ১৫ টন ত্রাণ সহায়তার মধ্যে রয়েছে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, তাঁবু, স্বাস্থ্যবিধি পণ্য ও ঔষুধসহ নিত্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য সামগ্রী।
এর আগে, গত রোববার (৩০ মার্চ) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে সশস্ত্র বাহিনীর মাধ্যমে প্রথম দফায় মিয়ানমারে ত্রাণ সহায়তা পাঠানো হয়। সেই মিশনে ওষুধ, তাঁবু, শুকনো খাবার ও একটি মেডিকেল টিম অন্তর্ভুক্ত ছিল।
গত শুক্রবার দিনের মাঝামাঝি সময়ে এশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে মিয়ানমারে। এরপর থেকে সেখানে হতাহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেসের (এপি) প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৬৫ জনের লাশ উদ্ধার করেছে দেশটির সামরিক সরকার। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩ হাজার ৯০০ মানুষ। ধ্বংসস্তুপের নিচে আরও প্রায় ২৭০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two motorcycles in Kishoreganj killed 2

কিশোরগঞ্জে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২

কিশোরগঞ্জে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন।

সোমবার (৩১ মার্চ) বিকালে উপজেলার আগরপুর–পোড়াদিয়া সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত শামীম মিয়া (২৫) কুলিয়ারচর উপজেলার গোবরিয়া নামাকান্দা গ্রামের কৃষক নোহাজ উদ্দিনের ছেলে এবং আল আমিন (২৭) লক্ষ্মীপুর কাছারীপাড়া গ্রামের কৃষক তারা মিয়ার ছেলে। তারা দুজনই পেশায় কাঠমিস্ত্রী ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঈদের দিন বিকালে মোটরসাইকেলে করে ঘুরতে বের হন দুই বন্ধু শামীম ও আল আমিন। বিকাল ৩টার দিকে আগরপুর–পোড়াদিয়া সড়কের লক্ষ্মীপুর মধ্যপাড়া নামক স্থানে তাদের মোটরসাইকেলের সঙ্গে অপর একটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান শামীম মিয়া।

গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান আল আমিন। অজ্ঞাত অপর মোটরসাইকেলের আরোহী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তার পরিচয় জানা যায়নি।

কুলিয়ারচর থানার ওসি মো. হেলাল উদ্দিন দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুজন নিহত ও একজন আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jamaats Amir Dr Shafiqur Rahman spent Eid with the martyrs family

শহীদ পরিবারের সঙ্গে ঈদ কাটালেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান

শহীদ পরিবারের সঙ্গে ঈদ কাটালেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান

জুলাই আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। সোমবার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের জামাতে নামাজ শেষে শহীদদের বাসায় যান তিনি।

এদিন নামাজের পর জুলাই আন্দোলনে শহীদ ফারহানের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জামায়াত আমির। তিনি শহীদ ফারহানের মা-বাবা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন, পরিবারের সার্বিক খোঁজখবর নেন এবং পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মহান আল্লাহর দরবারে শহীদ ফারহানের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহি পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির ড. হেলাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ড. আব্দুল মান্নান ও কামাল হোসাইনসহ স্থানীয় জামায়াত নেতারা।

একই দিন ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের হামলায় শহীদ হওয়া সাইফুল্লাহ মো. মাসুম ও হাফেজ শিপনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি শহীদ মাসুম ও শিপনের মা, বাবা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ঈদের কুশল বিনিময় করেন ও পরিবারের সার্বিক খোঁজখবর নেন এবং পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মহান আল্লাহর দরবারে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করেন।

এ ছাড়া সোমবার বিকালে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ দশম শ্রেণির ছাত্র শাহরিয়ার খান আনাসের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদের কুশল বিনিময় করেন আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান। তিনি শহিদ শাহরিয়ার খান আনাসের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও তাদের সার্বিক খোঁজখবর নেন।

এর আগে রোববার সন্ধ্যায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ ছয় বছরের শিশু জাবির ইব্রাহিমের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জামায়াত আমির। তিনি শহীদ জাবির ইব্রাহিমের বাবা, মা ও ভাইয়ের সঙ্গে ঈদের কুশল বিনিময় করেন, পরিবারের সার্বিক খোঁজখবর নেন এবং পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মহান আল্লাহর দরবারে তার রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করেন।

এ ছাড়া জুলাই আন্দোলনের শহীদ পিকআপ ভ্যানচালক রানা তালুকদারের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার মা, স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের সার্বিক খোঁজখবর নেন তিনি।

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের আরেক শহীদ জুবায়েরের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন ডা. শফিকুর রহমান। তিনি জুবায়েরর বাবা এবং দুই সন্তানের সঙ্গে ঈদের কুশল বিনিময় করেন ও পরিবারের সার্বিক খোঁজখবর নেন । একই দিন জুলাই আন্দোলনের শহীদ আসাদুল্লাহর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান।

তিনি শহিদ পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদের কুশল বিনিময় করেন, পরিবারের সার্বিক খোঁজখবর নেন। জামায়াত আমির শহিদ আসাদুল্লাহর স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের সদ্যজাত সন্তানকে কোলে তুলে নেন ও পরম স্নেহ-মমতায় আদর করেন।

জুলাই আন্দোলনে পানি বিতরণ করার সময় শহীদ মীর মুগ্ধের বাসায়ও যান জামায়াত আমির। তিনি মীর মুগ্ধর বাবা, ছোট ভাইসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ঈদের কুশল বিনিময় করেন, পরিবারের সার্বিক খোঁজখবর নেন এবং পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মহান আল্লাহর দরবারে শহীদ মীর মুগ্ধর রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করেন।

এছাড়াও ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ তামীম ও শহীদ সিফাত-এর পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদের কুশল বিনিময় করেন ডা. শফিকুর রহমান।

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আজ তিনি মিরপুরে শহীদ তামীম ও শহীদ সিফাত-এর বাবা, মা ও পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাত করেন।

এ সময় তার সাথে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান মূসাসহ স্থানীয় জামায়াত নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

p
উপরে